gnvbex(m)-Gi Rxebv`k©

প্রাক উসলামী যুগে আরবের সামাজিক অবস্থা

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর আবির্ভাবের র্পূবে দুনিয়ার মানুষ আল্লাহর বিধান ও নবী-রাসূলগণের আদর্শ ভুলে সর্বপ্রকার জঘন্যতম অনাচার ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের আচার-আচরণ ছিল ববর্র ও মানবতা বিরোধী। এ কারণে এ যুগ আইয়্যামে জাহিলিয়া (অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ) হিসেবে পরিচিত। এ সময়ে মানুষের জান-মাল, ইজ্জত-আবরুর কোন নিরাপত্রা ছিল না। শান্তি-শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা বলতে কিছ ছিল না। নরহত্যা, রাহাজানি, ডাকাতি, মারামারি, কন্যা সন্তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া, জুয়াখেলা, মদ্যপান, সুদ, ব্যভিচার ছিল তখনকার লোকদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শত শত দেব-দেবীর মূর্তি নির্মান ও তার পূজা করা, তাদেও কাছে সাহায্য প্রর্থনা করা ছিল তাদেও ধর্ম। কা’বা ঘওে তারা ৩৬০টি মূর্তি স্থাপন করেছিল। এক কথায় পাপ-পঙ্কিলতার অতল তলে নিমজ্জিত ছিল তারা। মানবতার এ চরম দুর্দিনে আলাহ তাআলা তার প্রিয়বন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব; রাহমাতুল্‌লিল্‌ অলামীন হযরত মুহাম্মদ (স)-কে পাঠলেন বিশ্বমানবতার শান্তির দূত হিসেবে। পথহারা আত্নভোলা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ নির্দেশ করতে।

শৈশব

আরবের কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জন্ম হয়।্‌ তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ্‌ এবং মাতার নাম আমিনা। জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা ইনতিকাল করেন।
শিশু মুহাম্মুদ (স)-এর চরিত্রে ইনসাফের একটি অনুপম দৃষ্টান্ত পরিলতি হয়। তিনি ধাত্রীমাতা হালীমার একটি স্তন পান করতেন এবং অন্যটি তাঁর দুধ ভাই আবদুল্লাহ্‌র জন্য রেখে দিতেন। মাতৃস্নেহে পাঁচ বছর পর্যন্ত লালন-পালন করে হালীমা শিশু মুহাম্মদকে মা আমিনার কোলে ফিরিয়ে দিয়ে যান। ছয় বছর বয়সে তাঁর মা আমিনা ইনতিকার করেন। প্রিয়নবী তাঁর পিতামাতা উভয়কে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন।

কৈশোর

হযরত মুহাম্মদ (স) দাদা আবদুল মুত্তালিবের আশ্রয়ে লালিত-পালিত হতে থাকেন। কিন্তু আট বছর বয়সে তিনি দাদাকেও হারান। এরপর তিনি চাচা আবু তালিবের স্নেহে লালিত-পালিত হতে থাকেন। কিশোর মুহাম্মদু (স) ছিলেন কর্মঠ। কারও গলগ্রহ হয়ে থাকা তিনি পছন্দ করতেন না। তিনি আবূ তালিবের অসচ্ছল সংসারে নানাভাবে সাহায্য করেন। বাড়তি আয়ের জন্য মেষ চরান। মেষপালক রাখাল বালকের জন্য তিনি ছিলেন আদর্শ। তাদের সাথে তিনি সৌহার্দ্য সমপ্রীতি বজায় রাখতেন। চাচার সঙ্গে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যান। যাত্রাপথে বহীরা নামক পাদ্রীর সঙ্গে তাঁদের সাাৎ হয়। বহীরা তাঁকে অসাধারণ বালক উল্লেখ করেন এবং তিনি শেষ যামানার নবী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।

সিরিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করে বালক মুহাম্মদ (স) প্রত্য করলেন ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকা। এযুদ্ধ ছিল নিষিদ্ধ মাসে। এ ছাড়া কাইস গোত্র অন্যায়ভাবে এ যুদ্ধ কুরাইশদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। এজন্য একে হার্‌বুল ফিজার বা অন্যায় সময় বলা হয়। এ যুদ্ধ পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিল। এ যুদ্ধে মুহাম্মদ (স) নিজে প্রত্যঙভাবে অংশগ্রহণ করেন নি, তবে তিনি যুদ্ধের বিভীসিকাময় করুন দৃশ্য অবলোকন করেছিলেন। এতে তাঁর কোলম হৃদয় কেঁদে উঠল। আহতদের আর্তনাদে তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। যিনি শান্তির ধর্ম ইসলামের দিশারী হবেন, এ অশান্তি তাঁর সহ্য হল না। তাই তিনি শান্‌িককামী উৎসাহী যুবকদের নিয়ে গঠন করলেন “হিলফুল ফুযূল” (শান্তি সংঘ)।

আর্তের সেবা করা, অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করা, অত্যাচারিতকে সাহায্য করা, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং গোত্রে গোত্রে শান্তি, সমপ্রীতি বজায় রাখা ছিল এ শান্তিসংঘের উদ্দেশ্য।

বস্তুত অবাক লাগে যে, আধুনিক বিশ্বের আজকের জাতিসংঘ “হিলফুল ফুযূলের” কাছে আনেকাংশে ঋণী। তবে পার্থক্য এই যে, সে যুবসংঘ তাদের নীতিমাণা যে নিষ্ঠার সাথে বাস্তবায়িত করতে সম হয়েছিল, আজকের জাতিসংঘ তা করতে পারছে না।

হযরত মুহাম্মদ (স)-এর আচার-ব্যাবহার, আমানতদারী, সত্যবাদিতা প্রভৃতি চারিত্রিক গুণাবলীতে মুগ্ধ হয়ে আরব রা তাকে উপাধি দেয় আল-আমীন (বিশ্বাসী)। নবুওয়্যাত প্রাপ্তির পর যারা তাঁর ঘোর শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারাও তঁকে কথনও মিথ্যাবাদী, আবিশ্বাসী বলতে পারে নি।

যুবক মুহাম্মদ (স)-এর সততা, সত্যবাদিতা ও চারিত্রিক মাধুর্যের কথা শুনে মক্কার সম্পদশালী বিদূষী, বিধবা মহিলা খাদীজা নিজ ব্যবসায়ের দায়িত্ব তার ওপর অর্পন করেন। তিনি ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়ে সিরিয়া গমন করেন এবং ব্যবসায়ে আশাতীত সাফল্য অর্জন করেন। খাদীজার ব্যবসা পরিচালনায় হযরত মুহাম্মদ (স) সততার যে নযীর স্থাপন করেন তা সর্বকালের যুবকদের জন্য আদর্শ। এ সফরে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর চরিত্র পর্যাবেণ ও পরীা করার জন্য খাদীজা তার বিশ্বস্ত কর্মচারী মাইসারাকে তাঁর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। মাইসারা হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সততা, বিশ্বস্ততা ও কর্মদতার ভূয়সী প্রশংসা করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তাতে মুগ্ধ হয়ে খাদীজা নিজেই মুহাম্মদ (স)-এর সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। চাচা আবূ তালিবের সম্মতিক্রমে খাদীজার সঙ্গে তাঁর বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর বয়স ছিল পঁচিশ বছর আর খাদীজার বয়স ছিল চল্লিশ বছর। বিবাহের পর খাদীজার সৌজন্য ও আন্তরিকতায় প্রচুর সম্পদের মালিক হন হযরত মুহাম্মদ (স)। কিন্তু তিনি এ সম্পদ ভোগ-বিলাস ও আরাম-আয়েসে ব্যয় না করে দুঃখি আর্ত-পীড়িতদের সেবাই ব্যয় করেন। কা’বাঘরের হাজরে আস্‌ওয়াদ স্থাপনের দুর্লভ সম্মান ও গৌরব লাভের ব্যাপার নিয়ে যখন গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার উপক্রম হল, তখন স্থীর হল যে, সবার আগে যে কা’বায় প্রবেশ করবে তারই ফায়সালা মেনে নেওয়া হবে। পরদিন সকলের আগে হযরত মুহাম্মদ (স) কা’বাঘরে প্রবেশ করলে সবাই সমস্বরে বলে উঠল, “এই এসেছেন আল্‌-আমীন, আমরা তার প্রতি সন্তুষ্ট ও আস্থাবান।” তাঁর ব্যাপারে কারও কোন আপত্তি রইল না। অত্যন্ত বিচণতার সাথে শান্তিপুর্ণভাবে তিনি এর মীমাংসা করে দিলেন। আনিবার্য রক্তয় থেকে তারা মুক্তি পেল।

বিচার-ফায়সালার েত্ের নিরপেতা আবলম্বন করলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাপ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে আনেক আনিবার্য সংঘাত থেকে রা পাওয়া যায়।

নবুওয়্যাত প্রাপ্তি

হযরত মুহাম্মদ (স) হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থাকাকালীন এক রাতে জিবলাইর (আ) তাঁর কাছে ওহী নিয়ে আসেন এবং তিনি নবুওয়্যাত প্রাপ্ত হন। এ সময়ে তাঁর বয়স ছিল চল্লিশ বছর। তিনি ঘরে ফিরে খাদীজা (রা)-কে বললেন: আমাকে বস্ত্রাবৃত কর।” তিনি খাদীজার নিকট সব ঘটনা প্রকাশ করে বললেন: “ আমি আমার জীবনের আশঙ্কা করছি।” তখন খাদীজা (রা) নবীকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন: “না, কখনও না। আল্লাহর কসম, তিনি ককনই আপনাকে অপদস্থ করবেন না। কারণ আপনি আত্নীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, দুস্থ-দুর্বলদের থাকা ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করেন। নিঃস্ব ও অভাবীদের উপার্জনম করেন। মেহমানদের সেবাযত্ন করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে (লোকদের) সাহায্য করেন।”

খাদীজা (রা)-এর উক্তি দ্বারা প্রমানিত হয় যে, নবওয়্যাত প্রাপ্তির পূর্বে মহানবী (স) কি রকম নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে মানবিক মহৎ গুণাবলীর অনুশীলন করতেন, মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকতেন।

ইমানের দাওয়াত

মহানবী (স) আল্লা্‌হর নির্দেশ মোতাবেক প্রথমে নিকট আত্নীয়-স্বজনের কাছে আল্ল্‌াহর প্রতি ঈমান আনয়নের দাওয়াত দিতে লাগলেন। নবী গোপেনে ইসলামের দাওয়ার দিতেন। এরপর আল্লাহ্‌ তাঁকে প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেওলার নির্দেশ দিলে তিনি প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলেন। এতে মূর্তিপূজারীরা তাঁর বিরোধিতা আরম্ভ করল। তাঁর ওপর নানারকম নির্যাতন চালাতে লাগল। তারা মহানবী (স)-কে নেতৃত্ব, ধন-সম্পদের প্রলোভন দেখালে তিনি বলেন: “আমার এক হাতে সূর্য ও অন্য হাতে চাঁদ এনে দিলেও আমি এ সত্য প্রচার থেকে বিরত হব না।” মহানবী (স)-এর এ উক্তি দ্বারা তাঁর সত্যনিষ্ঠা, অপূর্ব ত্যাগ, দৃঢ়তা ও সংযমের পরিচয় মূর্ত হয়ে উঠেছে।

খাদীজা ও আবূ তালিবের ইনতিকাল

নবুওয়্যাতের দশম বছরে মহানবী (স) তাঁর প্রিয়তমা সহধর্মিণী ও তাঁর স্নেহপরায়ণ চাচাকে হারান। এতে তিনি শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন। অসহ্য শোক-বেদনা ও কাফিরদের শত অত্যাচারের মুখেও তিনি দ্বীন প্রচারের কাজ চালিয়ে যান। তায়িফে যান সেখানকার মানুষদের দ্বীনের দাওয়াত দিতে। সেখানকার মানুষ তো ইসলাম গ্রহণ করলই না; বরং তারা প্রস্তরাঘাতে তাঁর পবিত্র শরীরকে তবিত ও রক্তাক্ত করে ছাড়ল। নবী (স) এমন মুহূর্তেও তায়িফবাসীদের জন্য বদদুআ করলেন না। তাদের জন্য ম চাইলেন আল্লাহর কাছে। ইতিহাসে এ মার আর কোন দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না।

মক্কায় কাফিরদের সীমাহীন অত্যাচার ও তায়িফবাসীদের দুর্ব্যবহারে মহানবী (স) যখন নিদারুণ মর্মাহত, ব্যথিত, তখন আল্লাহ তাঁকে তাঁর সান্নিধ্যে নিয়ে গেলেন। তিনি মি’রাজে গমন করলেন। এ মি’রাজে তিনি আল্লাহর দীদার লাভে ধন্য হলেন।

হিজ্‌রত

মক্কায় যখন কুরাইশদের চরম বিরোধিতার কারণে ইসলামের প্রচার ও প্রসার বাধাগ্রস্ত হতে লাগল, তখন আল্লাহর নির্দেশে মহানবী (স) মদীনায় হিজ্‌রত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মক্কার কাফিররা যখন দেখল যে, আস্তে আস্তে মুসলমানরা মক্কা ছেড়ে হিজ্‌রত করে চলে যাচ্ছে, মক্কা প্রায় মুসলিমশূন্য হয়ে গিয়েছে, তখন তারা মনে করল, নবী হয়ত এক ফাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। সকল গোত্র সম্মিলিতভাবে মহানবী (স)-কে হত্যার সিদ্ধান্ত নিল এবং সে মোতাবেক এক রাতে নবীর ঘর অবরোধ করল। প্রত্যুষে নবীকে হত্যা করার অপোয় থাকল; কিন্তু আল্ল্‌হর কুদরতে মহানবী (স) তাদের চোকে ধূর্লি দিয়ে আবূ বক্‌র (রা)-কে সাথে নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। গচ্ছিত সম্পদ প্রাপকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মহানবী (স) হযরত আলী (রা)-কে তাঁর ঘরে রেখে যান। কাফিররা ঘরে ঢুকে নবী (স)-এর বিছারায় আলী (রা)-কে দেখতে পেয়ে ক্রোধে অধীর হর। কিন্তু নবী (স) এর আমানতদারী দেখে তারা মনে মনে লজ্জিত হল। যাঁকে হত্যা করার জন্য তাদের এ প্রচেষ্টা সে শত্রু এত মহৎ ও উদার হতে পারে এ কথা তারা ভাবতে পারেনি। মহানবী (স) ও আবূ বকর সিদ্দীক (রা) কিছু দূর অগ্রসর হয়ে মক্কার সাওর পবর্তের গুহায় আশ্রয় নিলেন। এদিকে কাফিররা তাঁদের খুঁজতে খুঁজতে একেবারে গুহার মুকে এসে পড়র। আবূ বক্‌র(রা) গুহার মুখে কাফিরদের গতিবিধি ল তরে একটু বিচলিত হয়ে পড়লেন। নবী (স) বললেন: “আবূ বক্‌র, চিন্তা করো না! আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। ” আল্লাহর ওপর মহানবী (স)-এর ছিল গভীর আস্থা, অটল বিশ্বাস। তিনি জীবনের সব কাজে আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা করতেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে এ বিপদ থেকে পরিত্রান দিয়েছিলেন।

মহানবী (স) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে ২৪শে সেপ্টেম্বর হিজরত করে মদীনায় পৌঁছেন। মদীনার আবাল-বৃদ্দ-বনিতা পরম আগ্রহ ও ভারবাসায় মহানবী (স)-কে গ্রহন করর; মদীনার ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। নবীর শুভাগমনে খুশি হয়ে মদীনার মেয়েরা সুররিত কন্ঠে গেয়ে উঠেলেন: তালাাআল বাদ্‌রুআলাইনা.....................
“দেখ চেয়ে ঐ চাঁদ উঠেছে
গগণ কিনারায়।”

মদীনায় এসে মহানবী (স) স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। মুহাজির ও আনসারদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন। মুসরিম জাতি আজ যদি ভ্রাতৃঘাতী কার্যকলাপ পরিহার করে মদীনার আনসারগণের ন্যায় বিপন্ন মুসরিম ভাইয়ের সাহায্য এগিয়ে আসে তাহরে আজও মুসলিম জাহান শান্তি ও সমৃদ্ধির নীড়ে পরিণত হতে পারে।


Rxebv`k© Gi †c‡R dx‡i hvb

‡nvg †c‡R dx‡i hvb